সিয়াম সানীঃ
জমে উঠতে শুরু করেছে ঢাকার ঈদ বাজার। তরুন তরুনী ও মহিলা ক্রেতারাই মুলত বাজারে ঘুরে ঘুরে বেছে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পোশাক।
এবার লক্ষনিয় ভাবে চোখে পরছে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা। রাজধানীর গুলিস্তান, নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে পাকিস্তানি ও দেশীয় পোশাকের জনপ্রীয়তা, অন্যদিকে কিছুটা ভাটার টান দেখা গেছে ভারতীয় পোশাকের চাহিদায়।
পাকিস্তানি থ্রিপিস ও সালওয়ার-কামিজ এর প্রতি নারীদের বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এবারকারের পাকিস্তানী পোশাকের ডিজাইন, ফেব্রিক ও দাম সবকিছুই কাছে টানছে ক্রেতাদের।
ভারী ডিজাইন, নতুনত্ত না থাকা এবং উচ্চ দামের কারনে বাজার হারাচ্ছে ভারতীয় পোশাক। অন্যদিকে ঢাকার ক্রেতারা ঝুকছেন দেশী ব্র্যান্ড এর পোশাকের দিকেও। এবার এর ঈদুল ফিতরের সময় গরম আবহাওয়া মাথায় রেখে ক্রেতারা খুজে নিচ্ছেন সুতি বা আরামদায়ক দেশি পোশাক।
দেশি পোশাকের ব্যাবসায়ীরা এবার বেশ আশাবাদি ভালো বেচা বিক্রির বিষয়ে। অন্যদিকে ক্রেতারা তাত ও বুটিক এর পোশাকের দিকে ঝুকছেন এবং একসাথে ঈদ ও বাংলা নববর্ষের সাথে মিল রেখে পোশাক পছন্দ করছেন।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল এর ব্যাবসায়ী অন্তু সাহা জানিয়েছেন তার সংগ্রহে এবার আধুনিক ও নান্দনিক পাকিস্তানী ও ভারতীয় পোশাক রয়েছে তবে এখনো কেনাকাটা ঠিক জমে উঠেনি, ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন ও যাচাই করছেন। তিনি আশাবাদি আগামী সপ্তাহ হতে শুরু করে চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে ঈদের বেচা কেনা।
নিউ মার্কেটের এর জন ক্রেতা রাকিব আহামেদ সবুজ জানিয়েছেন, দাম তুলনামূলক বেশি হলেও তিনি কেনাকাটা শুরু করেছেন। দিনের বেলা কিছুটা গরম অনুভুত হয়ায় তিনি ইফতার সেরে পরিবার নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনা কাটা করতে।
আড়ং, কে ক্রেফট, দেশী দশ এমন কিছু ব্র্যান্ড এর একটি নির্ধারি্ত ক্রেতা শ্রেনী রয়েছে এবং তারা কিন্তু কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন ইতিমদ্ধে। পাঞ্জাবি, তাগা বা কুর্তি কেনার পিছনে ক্রেতাদের ঝোক কিছুটা বেশি দেখা গেছে।
এবার ঈদ বাজারে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক, সরকারী বাহিনী সমুহ ছারাও ব্যাবসায়ি দের নিজ উদ্দোকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে ততপর থাকতে দেখা গেছে। ব্যাবসায়ি রা সতর্ক রয়েছেন জাল টাকা যাচাই করার ক্ষেত্রেও।
শপিং মল বা মার্কেট সমুহের সামনে যানজট ও যানবাহনের জটলা কিছুটা ভোগান্তিতে ফেলছে ক্রেতা বিক্রেতাদের।
সব মিলিয়ে ঈদের বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা, দোকানিদের হাক ডাক, কেনা কাটা, আনন্দ উচ্ছ্বাস জানান দিচ্ছে ঢাকার মানুষ এবার প্রস্তুত ঈদ আনন্দ উদযাপনের জন্য।